গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা নগরের সহ-সভাপতি রনবীর বাড়ৈ সজলকে (৩৫) জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় আদালত চত্বরে চার ওপর নিক্ষেপ করে ক্ষুব্ধ জনতা।
শনিবার বেলা ১টায় আদালত প্রাঙ্গণে এ সব ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের মোংলার খাসেরডাংগা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নগরীর সাতরাস্তা, ময়লাপোতা মোড়সহ একাধিক স্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সজল বাড়ৈ বিরুদ্ধে। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বাড়ি বাড়িয়ে গিয়ে অভিভাবকদের হুমকি এবং লাঞ্চিত করার অভিযোগও ছিল সজলের বিরুদ্ধে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর ও জেলার পাঁচ থানায় হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা নগরের সহ-সভাপতি রনবীর বাড়ৈ সজলের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও খুলনা সদও থানায় ৫ টি মামলা এবং জেলার বটিয়াঘাটা থানায় একটি হত্যা ও রূপসা থানায় একটি মারামারি মামলা রয়েছে।
খালিশপুর থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনায় গত ৩০ আগষ্ট খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। যুবদল খুলনা মহানগর শাখারা যুগ্ম-সম্পাদক ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শেখ নুরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার বেলা ১২টায় রনবীর বাড়ৈ সজলকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন জামিন এবং রিমান্ডের আবেদন কোন পক্ষই করেনি।
এদিকে আদালতের একটি সূত্র জানায়, রনবীর বাড়ৈ সজলকে এজলাস থেকে বের করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা তার উপর ডিম নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। বিচারের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা মিছিলও করেন। তখন তড়িঘড়ি করে পুলিশ ভ্যানে তুলে সজলকে জেলা কারাগার নিয়ে যাওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/সাগর